কি করমু বাজান! বাদলার সময়েও ঘরে বসে দু’মুঠো ভাত খাইতে পারি না, বৃষ্টির মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হইতে হয়। সামান্য কিছু বাজার করমু, তবে বাজারে আইলে দামের কথা শুনলে মোর ঘাম ছুটে। এভাবেই খুলনা গেজেটের এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন খুলনা মহানগরীর জোড়াকল বাজারে আসা রিকশাচালক রজব আলী বলেন।
নগরীর ময়লাপোতা, জোড়াকল ও নতুন বাজারের ঘুরে দেখা যায়- এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজি ১০-২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন বাজার এবং জোড়াকল বাজারের তুলনায় ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে অতিরিক্ত ১০-১৫ টাকায় বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম।
বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি আলু ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ৪০-৪২ টাকা, পুইশাক ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখি ৪০-৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের লাউ ৫০- ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
এছাড়া প্রতি কেজি ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা ৬০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মায়ের দোয়া ভেজিটেবল সপের মিনারুল ইসলাম বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম ১৫-২০ উঠানামা করছে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হয়তো দাম কমতে পারে।
এ বাজারে আসা সরকারি চাকরিজীবী আ. ওহাব বলেন, বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি, দাম সাধ্যের মধ্যে আনতে সরকার পক্ষের তদারকি করা দরকার। কৃষি প্রধান দেশে যদি এত দামে বাজার করা লাগে, তাহলে কি হয়!
নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এ বাজারে সকালে আসলে তরতাজা সবজি পাওয়া যায়। কেজিতে আমরা ৫-১০ টাকা লাভ করি। প্রতিদিন এই বাজার বসে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
এ বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী মোজাফ্ফর বলেন, বাজার দর বেশ চড়াই যাচ্ছে। বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ১৫-২০ টাকা দামের ধুন্দুল এবং ঝিঙ্গা এখন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামান্য আয়ের মানুষ হিসেবে এটি আমাদের কাছে দুঃখের ব্যাপার।
খুলনা গেজেট/এমএম